ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ২০১৩ সাল থেকে খেলে আসছেন সাকিব আল হাসান। এখন পর্যন্ত তিন দলের হয়ে পাঁচ মৌসুমে খেলেছেন তিনি। তবে ২০২২ আসরের পর এবারই প্রথম টাইগার অলরাউন্ডারকে দেখা যাবে সিপিএলে। এবারের আসরের জন্য ড্রাফট থেকে সাকিবকে দলে নিয়েছে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকন্স।
৩৮ বছর বয়সী সাকিবের সিপিএলে দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৬ সালে জ্যামাইকা, ২০১৯ সালে গায়ানার হয়ে জিতেছিলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ২ বছর বিরতির পর আবারো সিপিএলে ফিরে উচ্ছ্বাসের কমতি নেই তার। জানালেন, ফ্যালকনের হয়ে সফল একটি টুর্নামেন্ট কাটানোরই আশা করছেন তিনি।
সাকিব বলেন , ‘এ বছরের সিপিএল খেলতে আমি মুখিয়ে আছি। আমি কয়েক বছর সিপিএল খেলেছি। শিরোপা জয়ী দলের সদস্য ছিলাম, ফাইনালও খেলেছি। সিপিএল নিয়ে তাই আমার বেশ ভালো ভালো স্মৃতি আছে। এ বছর ফ্যালকনের হয়ে খেলব, খুবই এক্সাইটেড। তাদের হয়ে সফল একটি টুর্নামেন্টের আশা করছি।‘
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে স্পিনাররা বরাবরই বেশ সফল। সাকিবের রেকর্ডও তাই বলছে। সিপিএলে সবচেয়ে ভালো বোলিং ফিগারের কীর্তি তার। ২০১৩ সালের আগস্টে ব্রিজটাউনে ত্রিনিদাদের বিপক্ষে বার্বাডোজের হয়ে সাকিব ৪ ওভারে ১ মেডেন দিয়ে ৬ রানে পেয়েছিলেন ৬ উইকেট। ফ্যালকনও স্পিনে গুরুত্ব দিয়েই সাজিয়েছে দল। সাকিবের বিশ্বাস, শিরোপা জয়ের মতো স্কোয়াড হয়েছে তাদের।
তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখবেন, সিপিএলে স্পিনাররা বড় একটি ভূমিকা রাখেন। দলে ২ কোয়ালিটি স্পিনার আছে, অবশ্যই এটা ফ্যালকনকে সহায়তা করবে। এটা চ্যালেঞ্জিং টুর্নামেন্ট। প্রতিটি দলই প্রতিটি দিকে শক্তিশালী হয়ে থাকে, কোনো দলেই দেখবেন তেমন দুর্বলতা খুঁজে পাচ্ছেন না। ছয়টি দলই শিরোপার প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে আমাদের দল নিয়ে আমি আশাবাদী, ফ্যালকনসের হয়ে ভালো কিছু করতে পারব।‘
এর আগে বুধবার (১৮ জুন) সাকিবকে নেয়ার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিপিএলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে তথ্য নিশ্চিত করা হয়। তার দল পাওয়ার খবর জানিয়েছে এভাবে, ‘এখনো সিপিএলের সেরা বোলিং যাঁর, সেই সাকিব আল হাসান ২০২৫ সালে খেলবেন অ্যান্টিগা ও বারবুডার হয়ে। তিনি কি পারবেন ২০১৩ সালে সেই ৬ রানে ৬ উইকেট পাওয়ার দুর্দান্ত বোলিং ছাড়িয়ে যেতে?’
খুলনা গেজেট/এনএম